শীতকালে ডিম !
ডিমের পুষ্টি উপাদান শীত মৌসুমে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে দূর রাখতে পারে।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে শীতকালের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
পুষ্টি উপাদানে ঠাসা ডিম পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে একটি। আর যেহেতু শীতকালে সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি রোগের আশঙ্কা বাড়ে, তাই সিদ্ধ ডিম নিয়মিত খাওয়ার মোক্ষম সময়।
প্রোটিন: ডিমে প্রচুর প্রোটিন থাকে একথা সবারই জানা। একটি মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ‘অ্যান্টিবডি’ তৈরিতে প্রোটিন ব্যবহার করে শরীর। যা পরে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি: স্বাস্থ্যকর মাত্রায় চর্বি থাকে ডিমে। তবে এটা আপনাকে মোটা বানাবে না। শীতকালে এই চর্বি শরীরের জন্য উপকারী। কারণ তা কোষের বৃদ্ধিতে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সুরক্ষা দিতে এবং শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক।
ভিটামিন ডি: নিজের অজান্তে অনেক মানুষ ভিটামিন ডি’য়ের অভাবে ভুগছেন। আর এই ভিটামিনের চাহিদা শুধু খাদ্যাভ্যাসের সাহায্যে পূরণ সহজ নয়। সূর্যালোক ভিটামিন ডি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শীতকালে যেহেতু সূর্যের দেখা পাওয়া যায় কম তাই ডিম এক্ষেত্রে আপনার পরম বন্ধু। প্রতিদিনের ভিটামিন ডি’য়ের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করতে পারে একটি ডিম।
দস্তা: শীতকালের সাধারণ সর্দিজ্বর থেকে বাঁচাতে অত্যন্ত উপকারী একটি খনিজ উপাদান দস্তা যা ডিম থেকে পেতে পারেন। সর্দিজ্বরের বেশিরভাগ ওষুধে এই দস্তা থাকে।
ভিটামিন বি সিক্স ও বি টুয়েলভ: এই দুটি ভিটামিনও প্রচুর পরিমাণে থাকে ডিমে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হলে শীতে সংক্রামক রোগগুলো থাকবে দূরে।