November 25, 2024
আন্তর্জাতিক

শি জিনপিং-পুতিনের বৈঠকের নিন্দা জানালো তাইওয়ান

ইউক্রেনের অচলাবস্থার মধ্যে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রায় দুই বছর পর বেইজিং সফরে যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমাদের সঙ্গে ইউক্রেন ও তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনার কারণে চীন ও রাশিয়া আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচেছ। এবার দুই শীর্ষ নেতার এই বৈঠকের নিন্দা জানালো তাইওয়ান।

স্থানীয় সময় শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাইওয়ানের তরফে জানানো হয়, শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজনের সময় চীন রাশিয়া যে একে অপরের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেটি নিন্দনীয়। একই সঙ্গে চীন সরকার খেলার চেতনাকেও লজ্জা দিচ্ছে।

অলিম্পিক আয়োজনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরুর আগে বৈঠকে বসেন শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চীন। দ্বীপটির জন্য যেকোনো ধরনের স্বাধীনতার বিরোধিতাও করে চীন। বৈঠকে রাশিয়া চীনের এই অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানায়।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দ্বীপটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ বলে চীন ক্রমাগত মিথ্যা দাবি করে আসছে এবং ভুয়া খবর ছড়ানো তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তারা আরও জানায়, এটি শুধু তাইওয়ানের জনগণের প্রতি চীনা সরকারের ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতার পরিচয় নয়। এটি বিশ্বের সমস্ত দেশকে চীনা কমিউনিস্ট শাসনের আগ্রাসন, সম্প্রসারণবাদ এবং শান্তির জন্য ক্ষতিকর ও ভয়ঙ্কর চেহারাকে আরও স্পষ্ট করে।

দেশটির মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বিশ্বের সবার নজর যখন শীতকালীন অলিম্পিকের দিকে, তখন চীন সরকার রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, যেটি কর্তৃত্ববাদেরই বহি:প্রকাশ। তারা এটি করে অলিম্পিকের আয়োজনকে অবমাননা করছে এবং এটি তাইওয়ানের মানুষের কাছে নিন্দনীয়।

যুক্তরাষ্ট্রও এই বৈঠকের কড়া সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উচিত ছিল বৈঠকে ইউক্রেনে উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া।

এবারের অলিম্পিকে তাইওয়ানের চারজন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান প্রবেশ করে। ফলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বেইজিং ও তাইপের মধ্যে।

মজার বিষয় হচ্ছে, তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং চিং-কুও, যিনি অস্থায়ী গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরু করেছিলেন। তিনি রাশিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারতেন। ১৯৩০ সালের দিকে সেখানে কাজ করার সময় একজন রাশিয়ান নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দেশটির এই সাবেক প্রেসিডেন্ট।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *