December 22, 2024
জাতীয়

শিশু শীর্ষেন্দুর ইচ্ছাপূরণ, সেতু উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

সেই ২০১৬ সালের কথা। পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস খর¯্রােতা পায়রা নদীতে সেতু চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লিখেছিল। প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির জবাবও দেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন সেতু নির্মাণ করা হবে। ২০২০ সালে শীর্ষেন্দুর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর উপর ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পূরণ হবে শীর্ষেন্দুর ইচ্ছা।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এটিসহ আরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার ১১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আপনাদের সবার মনে আছে একটি সেতু চেয়ে শিশু শীর্ষেন্দু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিল। শিশুটির চিঠিতে অনেক মানবিক যুক্তি ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত মানবিক-দয়ালু। শিশুকে দেওয়া কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি শিশু শীর্ষেন্দুকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে পায়রা নদীর উপর পায়রাকুঞ্জ নামক স্থানে ১ হাজার ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে পটুয়াখালী সদর এবং ঢাকার সরাসরি, নিরবচ্ছিন্ন ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মার্চ ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ মেয়াদেই শীর্ষেন্দুর ইচ্ছা পূরণ করা হবে।

প্রকল্পের বাস্তবায়নে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে ৬শ মিটার, সেতু (ভায়াডাক্টসহ) ১ হাজার ৬৯০ মিটার, গাইড বাঁধ নির্মাণ হবে ১ হাজার মিটার। প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ, নিরাপত্তা সেবা নিয়োগসহ বিস্তারিত ডিজাইন পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে।

নির্মাণ তদারকি পরামর্শক সেবা ও টোলপ্লাজা নির্মাণসহ কম্পিউটারাইজড টোল আদায় পদ্ধতি চালুকরণ ছয়টি ওজন স্টেশন স্থাপন, টোল মনিটরিং ভবন, পুলিশ স্টেশন এবং প্রকল্পের জনবলের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ হবে চারটি। নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ ১ হাজার মিটার, অ্যাপ্রোচ সড়ক ৬শ মিটার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি, যানবাহন সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ কাজ করা হবে।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *