শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় ন্যায়পাল নিয়োগের তাগিদ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সকল শিশুর অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য একটি কমিশন গঠনের পাশাপাশি ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগের আহŸান এসেছে ঢাকায় আয়োজিত এক পরামর্শ সভা থেকে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জুয়েনা আজিজ গতকাল রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে ওই সভায় বলেছেন, এ বিষয়ে আর ‘কালক্ষেপণের সুযোগ’ নেই।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য কমিশন গঠন এবং ন্যায়পালের কার্যালয় প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে ‘শিশু অধিকার: শিশুন্যায়পাল নিয়োগ’ শীর্ষক এ সভায় বলা হয়, জাতিসংঘের শিশু-অধিকার সদনের আলোকে ইতোমধ্যে জাতীয় শিশু নীতিমালা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। কিন্তু ওই নীতিমালা অনুযায়ী এখনও ‘শিশুদের জন্য ন্যায়পাল’ নিয়োগ হয়নি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, শিশুদের কল্যাণের জন্য সর্বাগ্রে আমাদের দুটো কাজ করতে হবে। প্রথমত, সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসন; দ্বিতীয়ত, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় জোরদার করা। তাই শিশুকল্যাণে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আমরা নিয়মিত বৈঠক করছি, অভিজ্ঞতা বিনিময় করছি।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে যেন পাবলিক পরীক্ষার ‘বিভীষিকা’ পেয়ে না বসে সেদিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লায়লা জেসমিন বলেন, শূন্য থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের বিকাশ ও যতেœ নীতিমালা করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের উন্নয়নে বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু অধিকার সংক্রান্ত সব ধরনের উদ্যোগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে ব্র্যাক একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি, টেকনোলজি এবং পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের পরিচালক কেএএম মোরশেদ। সেভ দ্য চিলড্রেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।