শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আড়াই বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের আদালত। সোমবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আব্দুল হালিম এ রায় দেন। দণ্ডিত আরশাদুর রহমান রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আইয়ুব খান বলেন, ধর্ষণের পর ওই শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি আরশাদুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার সদর থানার কাসাইট্যা গ্রামে মিলাদ ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়। নিহত শিশুটি মেলায় গিয়ে আসামি আরশাদুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে একটি চুলের ব্যান্ড কেনে। সেসময় শিশুটির সাথে আরশাদুরের কথা হয়। সন্ধ্যার পর ওই শিশু একা মেলা থেকে বাড়িতে ফেরার সময় আরশাদুর তাকে অনুসরণ করে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গ্রামের মেঠো পথ থেকে শিশুটিকে তুলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে আরশাদুর। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়। পরিদিন সন্ধ্যায় পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে। এরপর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিচারের জন্য মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত রায় দেয়।
এদিকে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় আরেক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মশিউর রহমান খান। দণ্ডিত মো. ইলিয়াস বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত নূর আহমদের ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি জেসমিনা আক্তার বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর বিকাল সাড়ে চারটায় বাড়ির কাছে একটি মাঠে ছাগল চড়াচ্ছিল ওই কিশোরী (১৩)। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াস ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর চাচা থানায় মামলা করেন ওই বছরের ২৪ নভেম্বর। মামলায় ২০১৬ সালের ১৯ জুন অভিযোগ গঠন করা হয়। সাতজনের সাক্ষ্য নিয়ে সোমাবার আদালত রায় দেয়।