শিরোমণি চক্ষু হাসপাতালের পরিচালকের সাথে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ নেতাদের বৈঠক
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
খুলনার শিরোমণি বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার-ষ্টাফ, প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন বোর্ড সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গসহ সর্বমহলের দাবী উপেক্ষা করে হাসপাতালের স্বার্থ ত্যাগ করে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং পরিচালক ফেন্সিডিলসহ পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়া মাহমুদুল হাসান তারিফকে রক্ষার চেষ্টায় বিষ্মিত। গতকাল সোমবার স্থানীয় এমপি ও মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালের পরিচালকের সাথে সাক্ষাত করে এ বিষ্ময় প্রকাশ করে রক্ষার অন্তরালে মূলরহস্য উৎঘাটনের দাবী তুলেছেন। এদিকে রবিবার কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া দেওয়া একটি নোটিশ দেখে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার-ষ্টাফরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হাসপতালের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর(সিসি) মাহামুদুল হাসান তারিফের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, নারীকেলেঙ্গারীসহ বিভিন্ন অনিয়মের ইস্যুতে হাসপাতালের ডাক্তার ও ষ্টাফদের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনের দাবীর প্রতি সমার্থন জানিয়ে মাদক এবং যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে এবং হাসপাতালের শান্তিপুর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় এমপি এবং কেসিসি মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ও যোগিপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আঃ হান্নানের সাথে তার দপ্তরে বৈঠক করেন।
বৈঠকের বিষয়ে খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন জানান, মাহমুদুল যেহেতু মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে ছিলো সেহেতু প্রাথমিক ভাবে সে মাদকসেবী প্রমানিত। মাহমুদুল হাসানসহ কোন মাদক সেবীর স্থান এই হাসপাতালে হবেনা যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাদকের পক্ষ নেয় তা হলে বিষয়টি আ’লীগ রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করবে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আঃ হান্নান বৈঠকের কথা স্বাীকার করে বলেন স্থানীয় এমপি এবং মেয়র মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসাবে তারা এসে মাদক সেবনের দায়ে অভিযুক্ত মাহমুদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমি তাদেরকে বলেছি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি দেখা হবে। হাসপাতালের একটি সুত্র জানিয়েছেন এমপি এবং মেয়র মহোদয়ের প্রতিনিধি দলটি চলে যাওয়ার পর হাসপতালের পরিচালক আঃ হান্নান ডাক্তার বিএম সাইফুর রহমানকে তার পক্ষে ডেকে কেন তারা এসেছে বিষয়টি জানতে চেয়ে তাকে থ্রেট করেন।
এদিকে হাসপাতালের নোটিশ বোর্ড সহ বিভিন্ন স্থানে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়া দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে হাসপাতালের সেবাদান কার্যক্রম এক মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা যাবেনা। অন্যথায় আইন শৃংখলা প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানান হইবে। নোটিশটি দেখে ডাক্তার-ষ্টাফরা চরম ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে উষ্কানিমুলক এ ধরনের উদ্দেশ্য প্রনোদিত নোটিশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।