শিরোমণি চক্ষু হাসপাতালে অচলাবস্থা রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
খুলনার শিরোমণি বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাহামুদুল হাসান তারিফের ক্ষমতার উৎস কোথায় এক মাহমুদুল ইস্যুতে গোটা হাসপাতালের ডাক্তার-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একদিকে অন্যদিকে মাহমুদুল এবং কর্তৃপক্ষ। মাহমুদুল ইস্যুতে ক্রমে হাসপাতাল অচলাবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে।
আগত রোগীরা এবং তাদের স্বজনরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে। হাসপাতালের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাহামুদুল হাসান তারিফ ইস্যুতে হাসপাতালের আনন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অনিদৃষ্ট কালের কর্মবিরতি এবং মাহমুদুল হাসান হাসপাতালে প্রবেশ করলে তাৎক্ষনিক কর্মবিরতির মতো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গতকাল বুধবার আন্দোলনকারীরা সাসপেন্ডকৃত মাহমুদুল হাসান বহিরাগতদের নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে শান্তিপুর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে বিশৃংখলা সৃষ্টি এবং ষ্টাফদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়ার প্রতিবাদে আধাঘন্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন কালে এ ঘোষনা দেয়।
সকাল পৌনে ৮টা থেকে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম চালু রেখে পরিচালকের অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করে বক্তৃতা করেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মিজানুর রহমান নাসিম, ডাঃ নজরুল ইসলাম, ডাঃ বিএম সাইফুর রহমান, ডাঃ জুবায়ের রিয়াল, ডাঃ শিমুল চক্রবর্তি, কর্মকর্তাদের মধ্যে মীর মিজানুর রহমান, কর্মচারীদের মধ্যে গিয়াস জমাদ্দার, মোঃ খায়রুল ইসলাম, আফরোজা ইয়াসমিন।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্তৃপক্ষ সকলের দাবীকে উপেক্ষা করে মাহমুদুলের পক্ষ অবলম্বন করে হাসপাতালের অচালবস্থার সৃষ্টির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা গত দুই দিনে আন্দোলনকারীদের বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকিÑধামকি দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আন্দোলনকারীদের একজন ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমার বাসায় ৪/৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে আন্দোলন থেকে সরে না গেলে হাসপাতালে যেন না যাই তার হুমকি দিয়ে গেছে। হাসপাতালের ষ্টাফ ইয়াদুল ইসলাম জানান এলাকার কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি আমাকে বাসায খুঁজে না পেয়ে আন্দোলন থেকে সরে না আসলে হাসপাতালে গেলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেছে। আন্দোলনকারীদের অব্যাহত জীবনাশের এবং চাকুরী খাওয়ার হুমকিতে আন্দোলনকারীরা আরো কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।