September 8, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

শিরোমণিতে ট্রাক মালিক হত্যায় মামলা : ৬ আসামি আটক

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

খানজাহান আলী থানার শিরোমণি পশ্চিমপাড়া চিংড়ীখালী বাইপাস মহাসড়কে গত ২ সেপ্টেম্বর ভোরে বাশঁ ব্যবসায়ী ও ট্রাক মালিককে হত্যা ও তার ছেলেকে গুরুতর জখম করে বাঁশ ভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত শমসের মন্ডলের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গার মনিরামপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র ট্রাক চালক মোঃ রফিকুল ইসলাম হ্যাপি (৩২) ও বটিয়াঘাটার কেসমত-ফুলতলা এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ মোড়লের পুত্র বাঁশের আড়তদার মাওঃ ইউনুস আলী (৬০)কে আসামি করে ও অজ্ঞাত আরো ৪জনের নাম উল্লেখ করে খানজাহান আলী থানায় একটি হত্যা মামলা করে যার নং-২, তাং-৪/৯/১৯।

নিহত শমসের মন্ডলের পুত্র সুমন মন্ডল জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৬০টি বাঁশ ক্রয় করে, যার (আনুমানিক মুল্য ১লাখ ২০হাজার টাকা)। আমার নিজ নামিয় ট্রাক নং- ঢাকা মেট্যো ট-১৪-৫৭৬২ যার (আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা) নিয়ে চালক মোঃ রফিকুল ইসলাম হ্যাপিকে নিয়ে বাগের হাট জেলার রামপাল থানার ফয়লা বাজারে তুহিন কাজীর বাঁশের আড়তে দেয়ার জন্য রাত সাড়ে ৯টার সময় আমার পিতা নিহত শমসের আলী মন্ডল ও মেঝ ভাই রোকন মন্ডলকে নিয়ে খুলনার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। চালক  হ্যাপি পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গার রেলক্রসিং হতে অজ্ঞাতনামা ২জনকে ট্রাকে তুলে নেয়। ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় ট্রাক ঠিকমত পৌছিয়েছে কিনা জানতে পিতা এবং ভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিলে ফেনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ফয়লা বাজারের বাঁশের আড়তদার তুহিন কাজীর নিকট ফোন করলে তিনি বলেন গাড়ীটি এখনও পৌছাইনি। ঐদিন সকাল ১১টার পর আলমডাঙ্গা থানার ওসির মাধ্যমে জানতে পারি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধিন আছে একব্যক্তি, সে শুধু তার নাম রোকন বাড়ী কয়রা ডাঙ্গা বলছে। পরবর্তীতে খোজখবর নিয়ে জানতে পারি আমার বাবাকে খানজাহান আলী থানা এলাকায় মারাত্মক রক্তাক্ত জখম মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার ও মেঝ ভাই রোকন মোন্ডলকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এখবর পেয়ে আমি আমার আতœীয় স্বজন নিয়ে খুমেক হাসপাতালে এসে আমার পিতার মৃত্যুদেহ সনাক্ত করি এবং আমার মেঝভাই রোকনকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দেখতে পাই এবং তার অবস্থা আসংখ্যা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠাই। খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন ঘটনার রাতেই লবণচোরা থানাধিন টেক্সটাইল মিলের সামনের থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করে এবং বাঁশের আড়ত হতে ইউনুস  মুন্সি ওরফে বালু মুন্সিকে গ্রেফতার ও বাঁশগুলিকে জব্দ তালিকায় নেয়া হয়।

পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে দ্রæত অভিযান চালিয়ে ট্রাক ড্রাইভার হ্যাপিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার পুর্বক তার স্বীকারোক্তি মুলক আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো চুয়াডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের রিজাউল ইসলাম, কবির হোসেন আকন্দ, ইয়াসিন আলী, রকিব উদ্দীন রিয়াদ। গত ৫ সেপ্টেম্বর আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নিহত শমসের মন্ডলের পুত্র সুমন আরো জানান, ড্রাইভার হ্যাপির খারাপ আচরণে গাড়ী থেকে কয়েক দফায় বাদ দেয়ায় ক্ষোভে পুর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্য কান্ড ঘটায়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকন্ডের সাথে জড়িতদের দ্রæত বিচারের আওতায় এনে সর্বচ্চ শাস্তির দাবী জানান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *