শিমুলিয়ায় ফেরি বন্ধ, ভিড় বেড়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোটে
নাব্য সংকটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোটে চাপ বেড়েছে। তবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রাইভেট কারসহ অনেককে।
রোববার বেলা ২টা থেকে এখানে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে গেছেন বিআইডব্লিউটিএ সদস্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম্ সচিব গোলাম মোস্তফাসহ একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিলেন বরুণ হালদার নামে একজন যাত্রী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা লঞ্চে পার হয়েছেন। এ কারণে কোনো অসুবিধা হয়নি।
একই কথা বললেন খুলনার যাত্রী রোকন হাওলাদার, সায়েম হোসেনসহ অনেকে।
কাঁঠালবাড়ি লঞ্চমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, “ফেরি চলাচলে সমস্যা হলেও ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলছে ঠিকমত। দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ যাত্রী লঞ্চ ও স্পিডবোটে পারাপার হচ্ছেন।”
কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সগুলো সসস্যায় পড়ছে। ফেরির খবর আগেই না জানার কারণে তাদের ঘাটে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে।
মাদারীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ফাইজুল শরীফ বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক ও প্রাইভেট কার নিয়ে যারা আসছেন, তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে।”
এই দুর্ভোগ থেকে তাদের রক্ষার জন্য নৌপথটি দ্রুত খনন করে স্বাভাবিক করার দাবি জানান তিনি।
স্বাভাবিক অবস্থায় এই নৌপথে প্রতিদিন ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় ২০০ স্পিডবোট চলাচল করে।
হামীম পরিবহনের একটি বাসের চালক আনু মোল্লা বলেন, সোমবার ভোরে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ঘাটে আসেন।
“ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে থাকি। যাত্রীরা অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে পড়ে। বিকালে যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়। ঈদের পর থেকে যাত্রী চলে যাওয়ার ঘটনা আমার সাথেই চারবার ঘটেছে।”
ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য সজিব নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় নিজের গাড়ি নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসেন। ফেরি বন্ধ থাকায় যানজটে আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার শিমুলিয়াঘাটে চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. হিলাল উদ্দিন।
অভিযোগ রয়েছে, গাফিলতির কারণে যথাযথভাবে ড্রেজিং না হওয়ায় ফেরি বন্ধ করতে হয়েছে।
তবে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এনামুল হক বলেন, “নদীতে পলির মাত্রা বেশি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে খনন করেও তা কাজে আসেনি। চ্যানেলটি আবারও খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“পাঁচটি খনন যন্ত্র বসানো হয়েছে। ৩০০ ফুট কাটা হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে আশা করি।”
বর্তমানে লৌহজং চ্যানেলে ড্রেজিং চলছে। তীব্র স্রোতের কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেন তিনি জানান।
এ অবস্থঅয় ফেরি কর্তৃপক্ষ বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম বলেন, “যারা ফেরিতে নদী পাড়ি দিতে চান, তারা বিকল্প পথে যাতায়াত করতে পারেন।”
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪