শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়ানগঞ্জ মেয়রের থাপ্পড় মারার অভিযোগ
বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নাম ঘোষণা ‘দেরিতে’ করায় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহর অভিযোগ।
তবে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ অভিযোগ করেন, দেওয়ানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছিলেন তিনি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মাঠে শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মাইকে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের নাম ঘোষণা করছিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ।
মেহের উল্লাহ বলেন, পৌরসভার নাম ৫ নম্বরে ঘোষণা করার কারণে মেয়র তাকে গালাগাল দেন এবং থাপ্পড় মারেন। ঘটনাটি তিনি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
এই ঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন বলেও জানান।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌরসভার নাম ডাকার কথা ৫ নম্বরে। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ রহস্যজনক কারণে পৌরসভার নাম ঘোষণা করেন ৮ নম্বরে।
শাহনেওয়াজ বলেন, প্রথমে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, নৌ থানা ও অফিসার্স ক্লাব ডাকার পরে ৮ নম্বরে পৌরসভার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
“এ নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে; থাপ্পড় মারার অভিযোগ কাল্পনিক ও মনগড়া।”
পরিকল্পিতভাবে তাকে হেয় করতেই এই ধরনের কাল্পনিক অভিযোগ করা হচ্ছে বলে মেয়রের ভাষ্য।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা সাংবাদিকদের বলেন, “মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।”