November 30, 2024
করোনাজাতীয়লেটেস্টশিক্ষা

‘শিক্ষার্থীদের ২ ডোজ টিকা দেয়ার পর খুলবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়’

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশের যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে হলের শতভাগ শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হল নেই, সেগুলো আগামী ১৩ জুন থেকে খোলা হতে পারে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ টিকা দেয়ার পরই তাদেরকে হলে প্রবেশের ব্যবস্থা করব।’

বুধবার (২৬ মে) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই টিকা নিশ্চিত না আবাসিক হলযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলে বড় ধরণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতে পারে। করোনা সংক্রমণ আর না ঊর্ধ্বমুখী না হলে আগামী ১২ জুনের পর আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খুলে দিতে পারি। আবাসিক হল না থাকলে বিশেষ ব্যবস্থায় সেসব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা টিকাদান কর্মসূচির বাইরে রয়েছে। বর্তমানে টিকার সঙ্কট কেটে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছি। তালিকা পাওয়ার পর সেটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠিয়ে দেয়া হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের টিকা প্রদান করা হবে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের যেসব এলাকায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, সেখানে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা করলে তো আরও বৈষম্য তৈরি হবে। তাতে আরও বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হবে।

দীপু মনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শে আমরা সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা যেভাবে আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, আমরা তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এর বাইরে মানুষ নানা ধরণের দাবি তুলে আন্দোলন ও মানববন্ধন করতে পারে। কিন্তু ঝুঁকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জি এম হাসিবুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরি প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *