শিক্ষার্থীদের ১৬ দফার আন্দোলনে অচল বুয়েট
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন, নতুন ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালককে অপসারণ, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোসহ ১৬ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পঞ্চম দিনে পড়েছে। গতকাল বুধবার টানা পঞ্চমদিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে শহীদ মিনারের পাশেই ক্যাম্পাসের ভেতরের পলাশী-বকশী বাজার রাস্তা অবরোধ করেন তারা। সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটায় দিনের কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
আন্দোলনেররত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান সরোয়ার সৈকত বলেন, টানা পঞ্চম দিনের মতো আমাদের আন্দোলন চললেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন সময়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারিনি। আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরব না।
গত ১৫ জুন থেকে শিক্ষার্থীরা ১৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনে নামেন। ওইদিন উপাচার্য সাইফুল ইসলামের কাছে স্বারকলিপি দিয়ে দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসনকে তিনদিনের সময় বেঁধে দেন। পাশাপাশি বিক্ষোভও চলে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে নিজের কার্যালয়ে যাননি উপাচার্য। তবে বিভিন্ন অনুষদের ডিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা সঙ্কটের সমাধান দিতে পারেননি। এদিকে ক্যাম্পাসে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি।
বুধবার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সঙ্কট সমাধানে প্রশাসন কোনো কার্যকর না নেওয়োয় উদ্বেগ প্রকাশ করে সমিতি।