শান্তির নোবেল গেল ইউক্রেন-রাশিয়া-বেলারুশ
চলতি বছর যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াৎস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
নোবেল অ্যাসেম্বলি জানায়, বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নোবেল কমিটি জানায়, বিজয়ীরা অনেক বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় প্রচার চালিয়ে আসছে। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্যও তারা প্রশংসিত।
গেল ৩ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনতত্ত্ববিদ সভান্তে পাবো। পদার্থে ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জন এফ ক্লজার ও অস্ট্রিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার যৌথভাবে চলতি বছর নোবেল পেয়েছেন। এছাড়া রসায়নে নোবেল জয়ী তিনজন হলেন—ক্যারোলিন আর. বের্তোজি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেস। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফরাসি নাগরিক অ্যানি এরনক্স।
ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেসময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।