January 20, 2025
খেলাধুলা

শনিবার কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে বসছেন সিনিয়র ফুটবলাররা

ঘরোয়া ফুটবল বন্ধ। কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে খেলাধুলা শুরুর নির্ধারিত সময়ও নির্ধারণ করতে পারছে না যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গতকাল ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ঘরোয়া খেলাধুলার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবুজ সংকেতের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।

আগামী ফুটবল মৌসুম ঠিক কবে শুরু সম্ভব হবে বাফুফেও তা অনুমান করতে পারছে না। এ নিয়ে ফুটবলাররা দুই দফা বসেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের সঙ্গে। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়।

ঘরোয়া ফুটবলের ভবিষ্যত কী? বাতিল হওয়া মৌসুমে ক্লাবগুলোর সঙ্গে ফুটবলারদের যে হিসেব-নিকেশ আছে সেগুলোর কী হবে?- তা নিয়ে সভাপতির সঙ্গে মৌখিক আলোচনা করেছিলেন মামুনুল-আশরাফুলরা।

দ্বিতীয়বারের আলোচনায় বাফুফে সভাপতি ফুটবল মাঠে নামানোর আগে খেলোয়াড়রা কিভাবে তাদের ফিটনেস ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়েই বেশি আলোচনা করেছেন। সাবেক ফুটবলার ও কোচ হিসেবে কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলারদের হাতে-কলমে কিছু দীক্ষা দিয়েছেন যাতে করোনাকালে নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন। সাদা বোর্ডে মার্কার দিয়ে এঁকেএঁকে তিনি ব্যায়ামের নিয়মও দেখিয়েছেন।

ফুটবলাররা সভাপতির উপদেশগুলো গিলে বাসায় ফিরলেও তাদের মধ্যে নিজেদের ভবিষ্যত টেনশন আছে তা দূর করতে পারছেন না কিছুতেই। এটা কেবল প্রিমিয়ার লিগের নয়, অন্য সব লিগের খেলোয়াড়দের কথাও ভাবছেন সিনিয়ররা। গোটা ফুটবল নিয়েই উদ্বিগ্ন তারা।

কারণ বেশি সমস্যায় অন্য লিগের খেলোয়াড়রা। অনেকের মানবেতর জীবন কাটানোর কাহিনী ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব কিছু নিয়ে সভাপতির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন আলোচনা হলেও শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলাররা সবকিছু জানাবেন। সমস্যাগুলো লিখিত আকারে পেশ করবেন তাদের অভিভাবক বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের কাছে।

কতজন ফুটবলার থাকতে পারেন সভাপতির সঙ্গে এই আলোচনায়? বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে ২৫-৩০ জন ফুটবলার থাকবেন। ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বাফুফে সভাপতি ছাড়াও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান, বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এবং আরেক সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়ালও থাকবেন।’

ফুটবলারদের সঙ্গে কিছু হিসেব-নিকেশ আছে ক্লাবগুলোর সঙ্গে। মৌসুম পরিত্যক্ত। তারা কি উন্মুক্ত? নাকি চুক্তি পর্যন্ত ঐ ক্লাবেরই থাকবেন। পাওনা পারিশ্রমিকেরই বা কী হবে? এসব অনেক হিসেব আছে যেটা বাফুফে সভাপতির কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরবেন ফুটবলাররা। কাজী নাবিল আহমেদ ও তাবিথ আউয়াল সভায় থাকায় ক্লাবগুলোর প্রতিনিধি হিসেবেও তারা দুইজন কিছু বিষয় আলোচনা করতে পারবেন বলে মনে করছে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *