November 25, 2024
জাতীয়

শঙ্কার কারণ নেই, ইভিএমে যার ভোট সেই দেবে : সিইসি

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। এই মেশিনে ভোট নেওয়া হলে যার ভোট সেই দিতে পারবে। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনে আসন্ন ঢাকা দুই সিটির ভোট উপলক্ষে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত দলটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে পুরো নির্বাচন কমিশন।

বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিষয়ে তারা (বিএনপি) আপত্তি করেছেন। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেছি, ইভিএম নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। এই মেশিনে ভোট নেওয়া হলে, যার ভোট সে দিতে পারবে। এখানে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাদেরকে বলেছি, নির্বাচনে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে যেসব অনিয়মগুলো ছিল-যেমন বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে গিয়ে ব্যালট ভরে আবার কেন্দ্রে রেখে দেওয়া, ব্যালট বক্স পানিতে ফেলে দেওয়া, আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া। আশির দশকের যে রকম চিত্র ছিল- নির্বাচনের ফল রাত ১০টায় একবার, রাত ৩টায় আরেকবার, সকালে আরেকবার হতো। আর নাম প্রকাশ হতো। এসব বিষয়গুলো আমরা তাদেরকে বলেছি। নানা কারণে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় কিছু অনিয়ম থেকে গিয়েছিল। সেসব থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিতে চাই। ইভিএমে প্রক্সি ভোট দেওয়া যায় না। একজন একবারের বেশি ভোট দিতে পারবে না। এই প্রটেকশনগুলো ইভিএম এর মাধ্যমে নিশ্চিয়তা দিচ্ছি।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমরা তাদেরকে বলেছি ইভিএমে নীরবে কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই। এর আগে আমরা সংসদ নির্বাচন করেছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছি, সেখানে কারচুপির অভিযোগ আসেনি। ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিধাদ্ব›দ্ব ছিল না।

তিনি বলেন, এখানে প্রোগ্রামিং করার কোনো সুযোগ নেই। প্রোগ্রামিং আমাদের হাতে থাকবে। এটা অনলাইন নয়, অফলাইন সিস্টেম। এখানে হ্যাকিংয়ের কোনো সুযোগ নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএম থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।

প্রার্থী ও সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশি হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে বলেছি, বৈঠক করে পুলিশকে কঠোরভাবে বলে দেবো প্রার্থী ও সমর্থকদের ৩০ জানুয়ারির আগে কোনো ধরনের নিষ্প্রয়োজনীয় হয়রানি করা যাবে না। তার মানে এই নয়, যদি কেউ ক্রিমিনাল অফেন্স করে বসে, তার বিরুদ্ধে নির্বাচনের দোহাই দিয়ে অ্যাকশন নেওয়া যাবে না, তা হতে পারে না। আদালত থেকে সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তখনতো আদেশের বিরুদ্ধে পুলিশ অবস্থান নিতে পারে না। কোনটা প্রয়োজনীয় ও কোনটা নিষ্প্রয়োজনীয় তা আলাদাভাবে বসে বলে দেবো।

প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সিইসি বলেন, প্রার্থীদের প্রচারের বিষয়ে পত্রপত্রিকায় দেখেছি। সেই ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *