লোহাগড়ায় যুবলীগ নেতা পলাশ হত্যার ঘটনায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লোহাগড়া প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা পলাশ মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ হত্যাকাÐের ঘটনায় ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ নেতাসহ ২২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহত পলাশের মা পলি বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
গত সোমবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে পলাশকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত পলাশ (৩০) ঐ গ্রামের খোকন শেখের ছেলে। পলাশ লোহাগড়া বাজারের ফল ব্যাবসায়ী ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দোয়া মল্লিপুর গ্রামের মোঃ শাহিদুর রহমানকে। মামলায় ২২জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
নিহত পলাশের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, শাহিদুর রহমান মল্লিকপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। এ নির্বাচনে তার পক্ষে পলাশকে প্রচারণা চালাতে বলেছিলেন। তার পক্ষে প্রচারণা না চালালে পলাশকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোল্লার সাথে তার রাজনৈতিক বিরোধ হয়। এ নিয়েও তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। নিহত পলাশ আগামীতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, শাহিদুর ও রাশেদ এলাকায় একই পক্ষ। নিহত পলাশ এক সময়ে ওই পক্ষেই ছিলেন। দেড় বছর আগে ওই পক্ষ ত্যাগ করেন। তিনি মল্লিকপুর ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফরিদুজ্জামানের পক্ষে কাজ করছিলেন।
এ বিষয়ে ফরিদুজ্জামান বলেন, তাদের পক্ষ ত্যাগ করে আমার পক্ষে থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত পলাশের পরিবারের লোকজন জানান, পলাশ লোহাগড়া বাজারে ছিলেন। তাকে ফোন করে চরমল্লিকপুরের রুবেল ওই গ্রামের রমজানের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে তারা খাওয়া দাওয়া করেন। এরপর ওই বাড়ি থেকে বের হলেই তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। সবাই পালিয়েছে। আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।