লাদাখ সীমান্তে আরও সেনা না পাঠানোর বিষয়ে চীন, ভারত সমঝোতা
পশ্চিম হিমালয়ের বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্ত আরও সেনা না পাঠানোর বিষয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে
উত্তেজনাপূর্ণ ওই সীমান্তে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলার মতো তৎপরতাও তারা এড়িয়ে চলবে বলে মঙ্গলবার দেশ দুটি জানিয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ ছিয়ান জানিয়েছেন, সোমবার উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠকে মিলিত হয়ে ওই বিরোধপূর্ণ সীমান্ত নিয়ে নিজেদের ধারণা বিনিময় করেছেন।
নয়া দিল্লিতে ভারত সরকারের প্রকাশ করা একটি যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষ ‘ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা এড়ানোর’ এবং ‘একতরফাভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকার’ বিষয়ে একমত হয়েছে।
“যত শিগগির সম্ভব সামরিক কমান্ডার পর্যায়ের সপ্তম রাউন্ড বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয়েছে,” বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি বলা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
তিব্বত সীমান্তবর্তী লাদাখ অঞ্চলের বিরোধপূর্ণ একটি অংশে ভারত ও চীনের কয়েক হাজার সেনা জড়ো হয়ে আছে।
হিমালয়ের ওই প্রত্যন্ত অঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা, অচলাবস্থা চলার পর জুনে দুই পক্ষের মধ্যে প্রাণঘাতী হাতাহাতি লড়াইয়ে ২০ ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। চীনে তাদের পক্ষেও হাতহত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
তারপর থেকে উভয় দেশ বলে আসছে, তারা কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু আলোচনায় এ পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি হয়েছে বলে আভাস পাওয়া যায়নি।
ওই সীমান্তের কিছু কিছু পকেটে ভারত ও চীনের সেনারা মাত্র কয়েকশত মিটার দূরে অবস্থান নিয়ে থাকায় এবং উভয়পক্ষ সেনা সংখ্যা ও রদস সরবরাহ বাড়াতে থাকায় উত্তেজনা তীব্র পর্যায়েই রয়ে যায়।
মস্কোতে দুই পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর ১১ সেপ্টেম্বর চীন ও ভারত জানিয়েছিল, তারা উত্তেজনা হ্রাস ও ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছে।
ওই সময় উভয়পক্ষ ওই অঞ্চল থেকে উভয়পক্ষের সেনা দ্রুত সরিয়ে আনা ও উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়েও একমত হয়েছিল।