লাইফ সাপোর্টে এটিএম শামসুজ্জামান
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক সালেহ জামান সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার ওনার (এটিএম শামসুজ্জামান) একটি অপারেশন হয়। এরপর তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। মোটামুটি ভালোই ছিলেন। মঙ্গলবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের একটি মিটিংয়ে আমি বাইরে ছিলেম। পরিবার থেকে সন্ধ্যায় আমাকে জানানো হয়েছে দুপুরে ওনার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৩টার দিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তার নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
মলত্যাগজনিত সমস্যার কারণে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। গুণী এ অভিনেতার চিকিৎসা চলছে প্রফেসর ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত¡াবধানে।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উলেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।