লকডাউন শিথিল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেই জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, লকডাউন জলদি শিথিল করা এখনো খুবই বিপজ্জনক। কারণ, এতে ফের ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা দিতে পারে।
লন্ডনে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে সোমবার জনসন বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার লড়াইয়ে যুক্তরাজ্য এখন ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকির’ সময় পাড়ি দিচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো করে লকডাউন শিথিল করবেন না তিনি।
কঠোর লনডাউনে ব্রিটিশ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জনগণকে এই সময়ে বিধিনিষেধ মেনে চলাতেই অটল থাকার আহ্বান জানান জনসন।
তিনি বলেন, “আমরা গত ছয় সপ্তাহে যে একতা ও দৃঢ়তা দেখিয়েছি তা যদি অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে আমরা নিঃসন্দেহে একে (ভাইরাস) পরাজিত করতে পারব।”
“ধৈর্য্যহারা হবেন না। কারণ, আমার বিশ্বাস আমরা এখন লড়াইয়ের প্রথম ধাপ শেষের দিকেই এগুচ্ছি।”
বেকারত্ব বাড়ছে, অনেক কোম্পানি অচল হয়ে আছে, মন্দা চোখ রাঙাচ্ছে- অর্থনীতি এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড নিয়ে এ উদ্বেগের বিষয়টি বুঝতে পারছেন উল্লেখ করে জনসন বলেন, লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার স্পষ্ট দিক নির্দেশনা পেতে বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
তবে জনসন বলেন, “আমরা এখনই বলতে পারছি না যে কত দ্রুত বা ধীরে বা কখন বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।” কিন্তু আগামী দিনগুলোতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে।”
দ্বিতীয়বারের মতো ভাইরাসটির প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে উল্লেখ করে জনসন বলেন, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি নিলে কেবল নতুন করে মৃত্যুমিছিলই ঘটবে না, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও নেমে আসবে।
“আমি দেশের অর্থনীতিকে যত দ্রুত পারি সচল করতে চাই। কিন্তু ব্রিটিশ জনগণের এতদিনের চেষ্টা আর আত্মত্যাগকে ছুঁড়ে ফেলে আমি আবার ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটিয়ে ব্যাপক প্রাণহানির ঝুঁকি নিতে চাই না”, বলেন তিনি।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এ যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সোমবার সকাল নাগাদ ২০ হাজার ৭৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।দেশটিতে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে।