র্যাব-৬’র অভিযানে ৩২টি স্বর্ণের বিস্কুটসহ ২ চোরাচালানী আটক
দ. প্রতিবেদক
র্যাব-৬ এর অভিযানে যশোর থেকে ৩২টি স্বর্ণের বিস্কুটসহ দুই চোরচালানকারীকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার কুলতিয়া এলাকার মোঃ শুকুর আলীর ছেলে মোঃ শামীম হোসেন (৪০) ও যশোরের শার্শা থানাধীন দিঘা এলাকার আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির মিরাজ (২৬)। উদ্ধার হওয়ায় এসব স্বর্ণের মূল্য আনুমানিক দুই কোটি টাকা। রবিবার ভোররাতে তাদের আটক করা হয়। বিকাল ৪টায় খুলনাস্থ র্যাব-৬’র সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের মাধমে জানা যায়; যশোর এলাকা হয়ে কতিপয় স্বর্ণ চোরাকারবারী বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পরিবহন করে আসছে। প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালানকারী এই চক্রটিকে ধরতে র্যাব-৬, তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়; ঢাকা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে যাত্রীবেশে কতিপয় স্বর্ণ চোরাচালানকারী বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে র্যাবের অভিযান দলটি রবিবার রাত আনুমানিক ৩টায় ঢাকা-যশোর মহাসড়কের যশোর কোতোয়ালী থানাধীন যুব উন্নয়ন আধিদপ্তরের সামনে চেক পোস্ট স্থাপন করে। পরবর্তীতে ভোর সোয়া ৪টায় সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস যার নং ব-১৫-১৩১০ যাত্রীবাহী বাসটি উক্ত চেক পোস্টে আসলে চেকপোষ্টে অবস্থানরত র্যাব সদস্যরা উক্ত বাসটিকে থামানোর সংকেত দিলে, বাস থামানোর সাথে সাথে দুইজন ব্যক্তি কৌশলে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে কর্তব্যরত র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে।
তিনি আরও জানান, আটক দুইজনের দেহ তল্লাশি করে কোমড়ের বেল্টের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় প্রতিটিতে ১৬ পিস করে সর্বমোট ৩২ পিস স্বর্ণের বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকা। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ পাচার করার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫-খ(১)(ক) ১৯৭৪ সাল, ধারায় যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ