রোহিঙ্গা ক্যাম্প: এনজিওগুলোতে কঠোর নজরদারির নির্দেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর (বেসরকারি সংস্থা) কার্যক্রম কঠোর পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির মধ্যে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধকার (১৩ মার্চ) দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৈঠক শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, অনেকস এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে। কিন্তু দেখা গেছে যে, এখন পর্যন্ত এনজিওগুলো দেড়শ কোটি টাকার হোটেল ভাড়া দিয়েছে।
‘আসলে তারা বিদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য টাকা এনে কাজ করে। কিন্তু দেখা যায় তাদের (রোহিঙ্গা) জন্য এর ২৫ শতাংশও খরচ হয় না। ৭৫ শতাংশ-ই খরচ হয়ে যায় যারা এগুলো তদারকি করে তাদের পেছনে।’
আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, অনেক এনজিও ইল-মোটিভ (খারাপ উদ্দেশ্য) নিয়ে কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়িটি খতিয়ে দেখতে কঠোর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাষাণচরে স্থানান্তরের জন্য সব প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো সময় তাদের সেখানে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তাদের (রোহিঙ্গা) কোথায় রাখা হবে সেটা বাংলাদেশের ব্যাপার, বিদেশের কোনো বিষয় নয়।
বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।