রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে অস্ত্র কারখানা
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ (এক্সটেনশন) সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
সোমবার (৮ নভেম্বর) সেই কারখানায় তারা অভিযান চালায়।
এ সময় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন রোহিঙ্গা অস্ত্র কারিগরকে আটক করে র্যাব। তারা হলেন- হাবিবুল্লাহ, রাইতুল্লাহ ও হাসান।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি আরও বলেন, রোববার দিনগত রাত ৩টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময় হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন রোহিঙ্গা অস্ত্র কারিগরকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। মাদক ব্যবসা, লুটপাটসহ নানা অপরাধের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে অভিযানও চলবে।