রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ চলছে : সেনাপ্রধান
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ পুরোদমে চলছে বলে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার সকালে রামু সেনানিবাসের ছয়টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জেনারেল আজিজ বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। প্রতিটি ক্যাম্পের জন্য পিলার নির্বাচন কাজ শেষ হয়েছে। এখন পিলারগুলো ক্যান্টনমেন্টে তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো সেখান থেকে ক্যাম্পে নিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথমে ক্যাম্পে পিলারগুলো স্থাপন করা হবে। পরে সেগুলোতে কাঁটাতারের সংযোগ করা হবে। কাটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজও কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ চলছে।পরবর্তীতে সবগুলো ক্যাম্পে বেড়া স্থাপনা করা হবে বলে জানান সেনাপ্রধান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হবে উলেখ করে তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের সঙ্গে যেভাবে বজায় রাখা হচ্ছে; মিয়ানমারের সঙ্গেও একইভাবে বজায় রাখছে।
আগামী মাসে মিয়ানমার সফর নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, এ সফরের লক্ষ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়ন। এতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যদি যোগাযোগটা ভালো থাকে এবং আলাপ-আলোচনাটা যদি ঘন ঘন হয় তাহলে বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের সহযোগিতা করা সম্ভব হবে।
এ নিয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর দূরত্ব কমে আসবে। নিজেদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি পাবে। তাতে করে সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কেরও অনেক উন্নতি হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি মিয়ানমার সফরে যাচ্ছি।
সেনাপ্রধান বলেন,বর্তমান সরকার মিয়ানমারের সাথে ২৮৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক করার অনুমোদন করেছে। এটা পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। এরপর কাজ শুরু হবে।
এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উলাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, এয়ার কমোডর মুহাম্মদ শাফকাত আলী, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ ইউএনএইচসিআর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।