রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মেসির শেষের গোলে রক্ষা আর্জেন্টিনার
তিন দিন আগে ব্রাজিলের বিপক্ষে একমাত্র গোলে নিশ্চিত করেছিলেন জয়। এবার হারতে বসা দলকে যোগ করা সময়ে বাঁচালেন লিওনেল মেসি। উরুগুয়ের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্রয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা।
ছন্দে থাকা আর্জেন্টিনা এদিনও ম্যাচের শুরু থেকে অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখে। কিন্তু ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা।
এরই মাঝে ৩৪তম মিনিটে দারুণ পাল্টা আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় উরুগুয়ে। ডান দিক থেকে লুইস সুয়ারেসের বাড়ানো বল স্লাইডে জালে পাঠান পিএসজি ফরোয়ার্ড কাভানি।
চার মিনিট পর সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দিবালা। বাঁ দিক থেকে মার্কোস আকুনার পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন ইউভেন্তুস ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জালে বল পাঠালেও শট নেওয়ার আগে বল তার হাতে লাগায় গোল মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক শুরু করা আর্জেন্টিনা ৫৩তম মিনিটে গোল পেতে পারতো। তবে ২৫ গজ দূর থেকে মেসির ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
১০ মিনিট পর মেসি-আগুয়েরোর বোঝাপড়ায় কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বাঁ দিক থেকে বার্সেলোনা তারকার দারুণ ফ্রি-কিকে হেডে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার।
সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য স্থায়ী হয়নি তাদের। ৬৮তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বুলেট গতির ফ্রি-কিক উরুগুয়েকে ফের এগিয়ে নেন সুয়ারেস।
এরপর শেষ সময়ের আগ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে কোন বলই গোলের মুখ দেখতে পারেনি। তবে প্রতিপক্ষের বুক চিরে আর্জেন্টিনা একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে যার ফল স্বরূপ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর ৯২ মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা।
উরুগুয়ের ডি-বক্সে হ্যান্ডবল থেকে একটি পেনাল্টির সুযোগ আসলে মেসির সুতীক্ষ্ণ শটে শেষমেষ রক্ষা পায় আর্জেন্টিনা।
পরে অতিরিক্ত আর ২ মিনিট খেলা হয়ে শেষ হয়ে যায় গেমটি।