রোববার বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের দাফন
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহ রোববার (১৪ জুন) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন হবে।
তার মেজ ছেলে তন্ময় মনসুর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর দাফন সম্পন্ন হবে। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
সীমিত পরিসরে কোথায় জানাজা করা যায় তা নিয়ে নেতারা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে রোববার বনানীতে বাদ জোহর তার দাফন হবে। মরদেহ শনিবার ওই হাসপাতালেই রাখা হবে।
মোহাম্মদ নাসিমের মেজ ছেলে তন্ময় মনসুর যুক্তরাষ্ট্র থাকেন। তিনি শনিবার (১৩ জুন) দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন। রোববার দেশে এসে পৌঁছাবেন তিনি ৷
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর সংবাদে আওয়ামী লীগসহ সারা দেশের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে ৷ খবর শুনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মন্ত্রীরা হাসপাতালে ছুটে যান।
মোহাম্মদ নাসিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র বর্ষিয়ান জননেতা মোহাম্মদ নাসিম গত ৫ জুন ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। ওইদিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পযবেক্ষণে রেখেছিলেন। পরে গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বিকেলে মেডিক্যাল রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেন। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। ওইসময়ের মধ্যে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ডিপ কোমাতে রাখা হয়।
গত ১ জুন সকালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ আসে।
তবে পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু গত ৫ জুন সকালে মোহাম্মদ নাসিম ব্রেন স্ট্রোক করেন। এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার ছিল তার দ্বিতীয় দফায় স্ট্রোক। এ অবস্থায় গত গত ৯ জুন তার পুনরায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ওইদিন করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ অাসে।