November 25, 2024
ফিচার

রোদে ভিটামিন ‘ডি’ পাবেন যেভাবে

শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো ভিটামিন ‘ডি’। ডায়াবেটিস, প্রজনন সমস্যা থেকে শুরু করে হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, হৃদরোগ-স্ট্রোক, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা দৈহিক স্থূলতারও কারণ হতে পারে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি।

সারা বিশ্বের এখন ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে। সূর্যের আলো পড়লে এর প্রভাবে ত্বক ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করে। ফলে এটিই ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম প্রধান উৎস। এছাড়া বিভিন্ন খাবার থেকে বাকি ২০ শতাংশ ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।

দিনের কখন, কীভাবে সূর্যের আলো থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়? কারাই বা সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ সংগ্রহ করতে পারে? মেডিক্যাল নিউজ টুডের প্রতিবেদনে এ প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।

দিনের যে সময় সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়:

দুপুরের ঠিক আগ মুহূর্তে সূর্য যখন আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে থাকে, তখনই শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করে। তবে, সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘক্ষণ প্রচণ্ড রোদে থাকা উচিত নয়।

যেভাবে রোদ পোহালে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়:

দেহের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবে, তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে থাকার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।

সূর্য থেকে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ পায় যারা?

সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিতে ত্বকের রং বিশেষ প্রভাব ফেলে। যেমন কারো ত্বকের রং যদি বেশি গাঢ় হয় (ত্বকে বেশি মেলানিন থাকলে), তাহলে তা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে বেশি বাধা দেবে। ফলে ভিটামিন ‘ডি’ উৎপাদন বিঘ্নিত হবে। এজন্য যাদের গায়ের রং যত কালো বা গাঢ়, তাকে তত বেশিক্ষণ রোদে থাকতে হবে।

অর্থাৎ কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের চেয়ে শ্বেত বর্ণের মানুষের শরীরে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *