রোজায় পণ্যের মান নিশ্চিতে ২০ প্রতিষ্ঠানকে বিএসটিআইর চিঠি

রোজার সময় ইফতার ও সেহরিতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়- এমন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী বড় ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এ পত্র পাঠানো হয়।
দেশে মোড়কজাত খাদ্য পণ্য সরবরাহের প্রধান কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাণ ফুডস লিমিটেড, শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (টিকে গ্রুপ), আকিজ ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড, সুপার অয়েল রিফাইনারি (টিকে গ্রুপ), সিটি গ্রুপ, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট, তানভীর ফুডস লিমিটেড (মেঘনা গ্রুপ), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, নিউজিল্যান্ড ডেইরি লিমিটেড, এসিআই গ্রুপ, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আবুল খায়ের গ্রুপ, স্কয়ার ফুডস লিমিটেড, বাংলাদেশ সুপার শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিডি ফুডস লিমিটেড, সুইস বেকারি ও সজিব কর্পোরেশনকে প্রথম দফায় এই সতর্কতামূলক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার তাগিদ দিয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
চলতি মাসের ২৫ তারিখের পর বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে রোজার মাস।

রমজান মাসে ইফতার ও সেহ্‌রিতে বহুল ব্যবহৃত হয় এমন পণ্য, যেমন ড্রিংকিং ওয়াটার/মিনারেল ওয়াটার, সফট ড্রিংকস পাউডার, ফ্রুট সিরাপ, ফ্রুট জুস, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ঘি, লাচ্ছা সেমাই, নুডুলস, পাস্তুরিত দুধ, আইসক্রিম, মুড়ি, ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল, ফর্টিফাইড সানফ্লাওয়ার অয়েল, ফর্টিফাইড রাইস ব্রান অয়েল বিএসটিআইয়ের পর্যবেক্ষণভুক্ত ১৮১টি পণ্যের অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী গুণগত মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই থেকে এসব পণ্যের অনুকূলে মানসনদ (সিএম লাইসেন্স) গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
কিন্তু রোজার মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মানসনদ না নিয়েওই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে।

পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিএসটিআইর ভ্রাম্যমাণ আদালত বা সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম অব্যাহত আছে। রোজায় এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।