রেলের অ্যাপে টিকেট কেটে ভোগান্তি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রেলওয়ের অ্যাপে টিকেট কাটার পর ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার সময় এল নিশ্চিতকরণ বার্তা; এতে যাওয়া তো হলই না, কিন্তু গচ্চা গেল টাকা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকেট কিনে এই ভোগান্তিতে পড়েছেন এক সাংবাদিক।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে ‘রেলসেবা অ্যাপস’র মাধ্যমে শনিবারের সুবর্ণ এক্সপ্রেসের দুটি শোভন চেয়ারের টিকিট কাটেন। সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে একটি পূর্ণ এবং একটি হাফ টিকিটের মূল্য বাবদ ৬৭৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
টিকেট কেনা নিশ্চিত করে রেলের ইমেইল রাত ১০টায় না আসার পর চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সিএনএস বিভাগে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয়, টিকিট নিশ্চিত হয়নি এবং কেটে ফেলা টাকা আট কর্মদিবসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।
কিন্তু শনিবার বেলা ১২টা ৩১ মিনিটে তার ইমেইলে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকিট দুটি কাটার নিশ্চিতকরণ তথ্য আসে। এতে বগি নম্বর- ‘ন’ এবং সিট নম্বর- ৩৫ ও ৩৬ উলেখ করা হয়। ওই ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে টিকিট দুটি সংগ্রহ করতে বলা হয়।
চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিরতিহীন ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস সকাল ৭টায় চট্টগ্রামে রেল স্টেশন ছেড়ে যায়, ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌছায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে। খবর নিয়ে জানা যায়, শনিবার ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছেছে ১২টা ২২ মিনিটে। অর্থাৎ টিকেট নিশ্চিত করে ইমেইল যখন এসেছে, ততক্ষণে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকায় গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি।
আর ইমেইলে দেখা যায়, ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর টিকিট ইস্যু করা হয়েছে। টিকেট ইস্যুর সময় লেখা আছে ১১ মে বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট, অথচ টিকেট সংগ্রহের শেষ সময় বলা হয়েছে ১১ মে সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিট।
গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপটির রিভিউতে অনেকেই টিকেট কিনতে গিয়ে তাদের ভোগান্তির কথা লিখেছেন। বেশ কয়েকজন লিখেছেন টিকেট কাটা নিশ্চিত না হলেও তাদের টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানালে পূর্ব রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার মুরাদ হোসেন বলেন, অ্যাপসটি নতুন, কিছুটা সমস্যা আছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। রেলওয়ের ই-সেবা কার্যক্রমটি পরিচালনা করে থাকে সিএনএসবিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
এই কোম্পানির ঢাকা অফিসের ব্যবস্থাপক শারফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও নতুন, কিছু ত্রুটি আছে, তা ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। ট্রেন চলে যাওয়ার পর ‘টিকিট কনফারমেশন’ তথ্য আসার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।