‘রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে না’
যাত্রীরা আগাম রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে কেউ ট্রেনের টিকিট পাবেন না। প্রথমত আন্তঃনগর ট্রেনে এই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে লোকাল ট্রেনেও একই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে পিওসি (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিন হস্তান্তরের সময় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, আগে যে কারো কাছে নির্ধারিত ট্রেনের টিকিট থাকলেই ভ্রমণ করতে পারতেন। কিন্তু এখন নতুন নিয়মে টিকিট থাকলেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। যার টিকিট কেবল তিনিই ভ্রমণ করতে পারবেন। একজনের টিকিটে অন্যজন ভ্রমণ করতে পারবেন না। যদি কেউ অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করেন, তবে সেটি বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা বলে গণ্য হবে। শুধু তাই নয়, অন্যের টিকিট সঙ্গে থাকলেও বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে সেই যাত্রীকে জরিমানা দিতে হবে।
এছাড়া, এখন থেকে টিকিট কাটার পর কেউ যাত্রা বাতিল করতে চাইলে, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে দিয়েই তিনি তার টাকা ফেরত পাবেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগে টিকিট কাটার পর যাত্রা বাতিল বা টিকিটের টাকা ফেরত পেতে রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়া লাগতো। কিন্তু নতুন নিয়মে যাত্রীরা ঘরে বসেই তাদের টাকা ফেরত পাবেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সার্ভারের সঙ্গে রেলওয়ের সার্ভারের যোগসূত্র করা হয়েছে। সুতরাং সব যাত্রীর নাগরিক তথ্য সুরক্ষা থাকবে। একটি নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে প্রথম দিকে হয়তো নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা হতে পারে, তাই বলে চেষ্টা থামানো যাবে না। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন সময়ে অনেকে টিকিট কিনে বেশি দামে বিক্রি করতো। এখন যেহেতু যার টিকিট তাকেই ভ্রমণ করতে হবে, সেহেতু কালোবাজারি করার আর সুযোগ থাকবে না।
ট্রেনে ভ্রমণ করা নিম্নআয়ের মানুষের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে স্টেশনগুলোতে ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে। আর এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে দালালচক্র গড়ে ওঠার সুযোগ থাকবে না।
এসময় মন্ত্রী এনআইডির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি আন্তঃনগর ট্রেনে টিকিটবিহীন যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষকদের হাতে পজ মেশিন তুলে দেন।