রূপসায় মন্দির ও হিন্দুদের ঘরবাড়ি ভাংচুরে গ্রেফতার ১০, র্যাবের টহল জোরদার
দ. প্রতিবেদক
খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে কয়েকটি মন্দির এবং স্থানীয় হিন্দু মালিকানাধীন কিছু দোকান ভাংচুর করার ঘটনায় দশজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে।
গ্রামটির হিন্দু অধিবাসীরা বলছেন, হামলকারীরা অন্তত চারটি মন্দির এবং ভেতরে থাকা প্রতিমা ভাংচুর করেছে। পুলিশ অবশ্য হামলার শিকার হওয়া মন্দির ও অন্যান্য স্থাপনার সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।
প্রশাসন থেকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। রূপসা থানার পুলিশ বলছে, শনিবার রাতেই এ নিয়ে একটি মামলা হওয়ার পর ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মামলাটিতে কাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরদার মোশাররফ হোসেন বলছেন, “এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে”। র্যাব-৬ এর একটি টহল দলকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
রূপসার ইউএনও এবং থানার ওসি দু’জনেই গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মসজিদে নামাজ চলার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা ‘গান-বাজনা’ করছিলেন অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়, যেটাকে তারা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে বর্ণনা করছেন। তবে রূপসা উপজেলার নির্বাহী অফিসার বলছেন, ওই দ্বন্দ্বের সমাধান সেদিনই হয়ে গিয়েছিল এবং ওইদিনের ঘটনার সাথে শনিবারের হামলার সম্পর্ক নেই।
ইউএনও রুবাইয়া তাছনিম বলেন, শুক্রবারের ঘটনার পরপরই প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ‘আমরা জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা সাথে সাথে সেখানে যাই এবং স্থানীয়দের সাথে বৈঠক করে দ্বন্দ্বের মিটমাট করি,’ জানান ইউএনও।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, রূপসা এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করেছে।
এদিকে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার শিয়ালি গ্রামে পাশ্ববর্তী এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর লুটপাট মন্দির ভাংচুর ও শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়