রূপসায় কব্জি ও পায়ের রগ কাটা মামলা: ষড়যন্ত্র করে লিটুকে ফাঁসানোর অভিযোগ জাবুসা গ্রামবাসীর
দ: প্রতিবেদক
রূপসায় কৃষকের কব্জি ও পায়ের রগ কাটা মামলা নিয়ে নিরীহ মানুষকে আসামী ও গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার জাবুসা গ্রামবাসী। গতকাল রবিবার দুপুর একটায় খুলনা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. সাইফুল ইসলাম। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা লিটুর স্ত্রী সুমি বেগম ছাড়াও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারী সকালে রূপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের খানজাহান আলী ব্রীজের নিচে সাদ্দাম হোসেনের দুই হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা ও পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটানায় রুপসা থানায় মামলা হয়েছে। মামলার কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে মামলায় বাদি পক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এলাকার নিরীহ ও সাধারণ মানুষকেও আসামী করে পুলিশের হয়রানী করছে। এই মামলার আসামী রবিউল ইসলাম লিটু রুপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও এলাকার প্রভাবশালী। তিনি এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্নেষী মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে এই মামলার আসামী করেছে। গত ৮ জানুয়ারী সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। অথচ সে কোন ভাবেই এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। রবিউল ইসলাম লিটু ঘটনার সময় নিজ বাড়িতেই ছিলো। মূলত জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জাবুসার নজরুল ইসলাম ফকির ওরফে নজু ফকির ও লোকমান ফকিরের পুত্র কামাল ফকিরকে আটক করেছে। তারা শনিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরত জাহানের আদালতে উক্ত দুই আসামী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করে। এই দুই আসামী স্বীকারোক্তিতে রবিউল ইসলাম লিটুর সম্পৃক্ততা উল্লেখ করেনি। তার পরেও পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েছে। লিটুর সাথে সাদ্দাম বা তার পরিবারের কারো সাথে কোন প্রকার বিরোধ নেই। সংবাদ সম্মেলনে জমিজমাসংক্রান্ত ঘটনার এই মামলা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়।