রিয়াল-বার্সা-ইউভেন্তুসকে শাস্তি দিতে বাধা রইল না উয়েফার
বহুল আলোচিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর প্রচেষ্টায় উয়েফার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুসের আইনি লড়াই বড় এক ধাক্কা খেল। এই তিন ক্লাবের পক্ষে মাদ্রিদের একটি আদালত যে আদেশ দিয়েছিল, সেটি তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে ক্লাব তিনটি এখন উয়েফার শাস্তির মুখে পড়তে পারে।
মাদ্রিদের একটি বাণিজ্যিক আদালতের রায়ে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, গত বছরের এপ্রিলে দেওয়া আদেশ তারা তুলে নিচ্ছে, কারণ ক্লাবগুলিকে ফিফা ও উয়েফা শাস্তি দিলেও এটি তাদের সুপার লিগের পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া রোধ করবে না।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ক্লাব তিনটি এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও কোনো মন্তব্য করেনি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে সুপার লিগ।
গত এপ্রিলে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে ইউরোপের ১২টি ক্লাব সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দেয়। পরে প্রবল চাপের মুখে তিন দিনের মধ্যে সরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের ছয়টি ক্লাবসহ ৯ ক্লাব। শুরুতেই ভেস্তে যেতে বসা ‘বিদ্রোহী’ প্রতিযোগিতাটি আঁকড়ে রয়ে যায় কেবল তিন ক্লাব।
মূলত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিদ্রোহী টুর্নামেন্ট হিসেবে প্রস্তাবিত এই সুপার লিগের মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা করে ক্লাবগুলো। অবশিষ্ট তিন ক্লাব বার্সেলোনা, রিয়াল ও ইউভেন্তুস এখনও সেই পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে।
তাদের বাধা দিতে গত মে মাসে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেয় উয়েফা। অন্যদিকে, সুপার লিগ আবির্ভাবের দুই দিন পরই এর পক্ষে মত দেয় মাদ্রিদের একটি বাণিজ্যিক আদালত। রায়ে বলা হয়, ফিফা ও উয়েফা ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ১২টি ক্লাবের সুপার লিগ গঠন রোধ করতে পারে না।
এরপরও ফিফা ও উয়েফা যদি ক্লাবগুলোকে বিচ্ছিন্ন সুপার লিগ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে ইইউ কম্পিটিশন আইন ভঙ্গ করে, তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তখন ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসকে অনুরোধ করেছিল মাদ্রিদের আদালত। তার প্রেক্ষিতে সুইস আদালতের আদেশে পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করে উয়েফা। পরে ক্লাব তিনটির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই বন্ধেরও ঘোষণা দেয় তারা।
টুর্নামেন্টটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া ৯ ক্লাবকে পুরনো অবস্থায় ফেরার অঙ্গীকারনামা ‘ক্লাব কমিটমেন্ট ডিক্লারেশন-এ স্বাক্ষর করিয়েছিল উয়েফা। সেই সঙ্গে ওই দলগুলোকে ‘আর্থিক জরিমানাও’ করা হয়।