রিমান্ড শেষে কারাগারে সম্রাট
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে অস্ত্র এবং মাদক আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিলাহ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুই মামলায় রিমান্ড শেষে সম্রাটকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সম্রাটের পক্ষে তার আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন (হীরা) কয়েকজনের জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন সম্রাটকে রিমান্ড শেষে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। তাকে এজলাসে তোলা হয়নি।
গত ১৫ অক্টোবর মাদক মামলায় পাঁচ দিন এবং অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৬ অক্টোবর ভোর পাঁচটার দিকে কুমিলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণির চামড়া পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ করায় সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দু’টি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানকে আসামি করা হয়।