রিফাত হত্যার রামদা উদ্ধার, আরও একজন গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বরগুনা শহরে প্রকাশ্য রাস্তায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি উদ্ধার করা হয়ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আরিয়ান সাবা নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সোমবার সকালে তারা মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে সঙ্গে নিয়ে রামদা উদ্ধার করতে যান বরগুনার সরকারি কলেজ ক্যান্টিনের পূর্বপাশের ডোবায়। তার দেখানো জায়গা থেকে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রামদাটি উদ্ধার করা হয়।
আরিয়ান সাবাকে গ্রেপ্তার সম্পর্কে তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরিয়ান সাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিয়ান সাবা বরগুনার বাজার সড়কের ইউনুস সোহাগের ছেলে।
পরিদর্শক হুমায়ুন বলেন, এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত পাঁচজন। আর মোট ছয়জন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে ৭ দিনের জন্য, ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়, সন্দেহভাজন কামরুল হাসান সাইমুন ও রাফিউল ইসলাম রাব্বীকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত ২৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে (২৩) স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাতের মৃত্যু হয়।
হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। সেখানে দেখা যায়, দুই যুবক রামদা হাতে রিফাতকে একের পর এক আঘাত করে চলেছে। আর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
বরগুনার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নি হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারার কথা জানালেও নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজীর নাম বলেন। পরে রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ওই তিনজনসহ ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন।