রিজেন্টের তথ্য দিতে দুদকে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি
নিজেকে সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) আবারও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের দুর্নীতির অনুসন্ধান তথ্য দেওয়ার পর এবার বিতর্কিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবুল কালাম আজাদকে।
টানা দ্বিতীয়দিনের মতো বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার কিছু পরে দুদক কার্যালয়ে আসেন আবুল কালাম আজাদ। সকাল ১০টা থেকে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বাধীন একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
একই বিষয়ে বুধবার দলটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ইউনুস আলী ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসবাদ করে। আরেক উপ-পরিচালক ডা. শফিউর রহমানকে ডাকা হলেও তিনি ডাকে সাড়া দেননি।
বুধবার (১২ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ২০১৬ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। আমি লক্ষ্য করছিলাম, আমাকে নিয়ে অপপ্রচারের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। পদ আঁকড়ে রাখা আমার কাছে সম্মানের বিষয় নয়। তাই বিবেক তাড়িত হয়ে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।
নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, সৎ, সজ্জন এবং মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে সারাজীবন কাজ করেছি। আমি একজন অহংকারমুক্ত ও সরল এবং সজ্জন ব্যক্তি৷
তবে বুধবার সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন আবুল কালাম আজাদ। এরপর গত ৬ আগস্ট মাস্ক-পিপিইসহ করোনা স্বাস্থ্য সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম অনুসন্ধানে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ১২ ও ১৩ আগস্ট তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।