November 30, 2024
জাতীয়

রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় দেখছেন না হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা

গত বছর থেকে করোনাভাইরাসে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সারাদেশে প্রায় অর্ধেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলতে চান মালিকরা। তা না হলে রাস্তায় নামা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

আজ শনিবার (২২ মে) পল্টনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। এ সময় সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন, মহাসচিব ইমরান হাসান, যুগ্ম-মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মালিক সমিতির নেতারা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হোটেল খোলা রাখার সুযোগ, শ্রমিকদের প্রণোদনা দেয়া, মালিকদের এসএমই খাত থেকে ঋণ প্রদান, দোকানভাড়া ও গ্যাস পানি বিদ্যুতের বিল মওকুফসহ বেশ কিছু দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসা সীমিত রেখেছি। কিন্তু করোনায় যেসকল সেক্টরগুলৈা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

তিনি জানান, দেশের সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। আর এসবে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে নির্ভরশীল সংখ্যা প্রায় ২ কোটি মানুষ। এতোগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

ইমরান হাসান বলেন, দেশের ১২টি সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তবে এ খাতকে শিল্প ঘোষণা না করায় আমরা কোনো সংস্থা থেকে সহায়তা বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা শিল্পমন্ত্রণালয়, খাদ্য নাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় তাও জানা নেই। এমন পরিস্থিতিতে করোনাকালীন ১ কেজি চাল সহায়তাও পায়নি কোনো মালিক বা শ্রমিক।

সভাপতি ওসমান গনি বলেন, তারপরও করোনাকালীন সময় আমাদের থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেয়ার জন্য জোর-জুলুম চলছে। আমাদের এ ভ্যাটের হার সসম্পূর্ণ অনৈতিক। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের থালা-বাটি নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই। আমাদের দাবি না মানলে সারাদেশে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি করব।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো হোটেল খোলা রাখা সম্ভব না হলে, সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করতে চায় মালিক সমিতি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *