রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসছে সেপ্টেম্বরে: অর্থমন্ত্রী
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রায়ত্ত আরও চারটি ব্যাংককে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিডিবিএল, অগ্রণী, জনতা ও সর্বশেষ সোনালী ব্যাংককে বাজারে নিয়ে আসা হবে। আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। কমিটিতে চারটি ব্যাংকের একজন করে থাকবেন। এটা আইসিবি কোঅর্ডিনেট করবে।
“তবে এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক ট্রেজারি পারফর্ম করে। তাই আনতে সময় লাগবে। তবে অক্টোবরের পরে যাব না, সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত কাজটিই করতে চাই।”
মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকগুলির ২৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে; একবারে না পারলে পর্যায়ক্রমে হবে। আগে থেকে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে।
এসব উদ্যোগের ফলে বাজারে কী প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মার্কেটের উপর কি ইমপ্যাক্ট হবে, আমি বলতে পারব না।
“আমাদের কাজটি হচ্ছে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বাজারের সহায়ক জায়গাগুলোতে সাপোর্ট দেওয়া। বাজার কীভাবে উঠবে না নামবে তা সরকারের হাতে নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে আনা হচ্ছে। সাতটি প্রতিষ্ঠান ঠিক করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে আছে।
“যে দুটি মার্কেটে আছে, (সে দুটিকে) আরো সম্প্রসারিত করব। পাঁচটির ‘অ্যাসেট লায়াবিলিটি রিভিউ’ করে; এগুলোর মার্কেট ভ্যালু, গুডইউল মূল্যায়ন করে মার্কেটে নিয়ে আসা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে ছিলেন।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সরকারি ৩৪টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও বেশি দূর এগোয়নি।
২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের সংকট দেখা দিলে সরকারি কোম্পানিকে বাজারে আনার উদ্যোগ শুরু হয়।
ওই বছর সরকারি কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে রেখে বাকিটা ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারে ছাড়তে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু সে উদ্যোগ কাজে আসেনি।