রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্রুনাই ও ইতালির দূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রুনাই দারুস সালামের হাই কমিশনার হাজাহ মাসুরাই বিনতি হাজি মাসরি এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা। গতকাল বুধবার দুই দূত পৃথকভাবে বঙ্গভবনে যান বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান।
তিনি বলেন, সাক্ষাৎ এর সময় রাষ্ট্রপতি দুই দূতকে সাফল্যের সাথে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা সঙ্কেটে বিভিন্ন আন্তরজাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থনের জন্যও তাদের ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ ও ব্রুনাই বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারন যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। বাংলাদেশ ওষুধ, পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাকসহ আন্তরজাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এসব পণ্য কেনার বিষয়ে ব্রুনেই এর বিদায়ী দূতকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
ব্রুনেই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি জনশক্তি ব্রুনেই এর অর্থনীতিতে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। বাংলাদেশের ব্রুনেই এর বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্কও বাড়ছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের জনগণের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের’ প্রশংসা করেন এবং দায়িত্ব পালনের সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বলে জানান প্রেস সচিব।
পরে ইতালির দূত মারিও পালমা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশে ‘সফলতার সাথে’ দায়িত্ব পালনের জন্য ইতালির দূতকে রাষ্ট্রপতি অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিষয়ে ইতালির ‘উদার ভূমিকার’ প্রশংসা করেন।
হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় ইতালীয় নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে ইতালি সরকার ও জনগণের সহনশীল ভূমিকার প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দেশটির ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে বৈঠকে আশা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ। ইতালিকে বাংলাদেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগের ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে বর্ণনা করে আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বাংলাদেশের শিল্পকর্মেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশিষ্ট কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।