রাশিয়ার সহায়তা চাইছে কাজাখস্তান
কাজাখস্তানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
বিক্ষোভ-প্রতিবাদে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রাশিয়ার কাছে সহায়তা চান প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা ব্লকের কাছে তিনি সহায়তা চেয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশটি। বেশ কিছু সরকারি ভবনে আগুনের ঘটনায় ৮ নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশনের এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বলেন, কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অরগ্যানাইজেশনের (সিএসটিও) প্রধানদের কাছে আজ আমি সহায়তা চেয়েছি। এই সন্ত্রাসী হুমকি কাটিয়ে উঠতে কাজাখস্তানকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছি।
সিএসটিও নিরাপত্তা জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে মস্কো। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আরও পাঁচটি দেশ এর সদস্য।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশটিতে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের পতন দাবি করে। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া বিভিন্ন বড় বড় শহরে কারফিউ জারি করা হয়। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আলিখান স্মাইলভকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। জরুরি অবস্থায় রাতে কারফিউ ও গণসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভের জারি করা একটি ডিক্রিতে বলা হয়, চলমান অস্থিরতার মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করতে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রিসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ-অস্থিরতায় পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের ৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও তিন শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। তবে এসব বিক্ষোভ-প্রতিবাদে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।