September 12, 2025
আন্তর্জাতিককরোনা

রাশিয়ার ভ্যাকসিনও ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি

করোনাভাইরাস সামাল দিতে যখন পুরো বিশ্বের টালমাটাল অবস্থা তখন বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর আসছে। কয়েকদিন আগে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা সুখবর দিয়েছিল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছিল তারা।

তবে সম্প্রতি রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-ভি’ দ্বিতীয় দফায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে দেশটি। যদিও প্রথম দফায় ৯২ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি করেছিল তারা। একইসঙ্গে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন হবে বলে দাবি রাশিয়ার। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় প্রথম দফার ২৮ দিন পরে করোনা সংক্রমণ রুখতে ৯১.৪ শতাংশ কার্যকর হয়েছে ‘স্পুটনিক-ভি’। মোট ৩৯টি কেসের মাধ্যমে এটা মূল্যায়ন করা হয়েছে। ৪২ দিন পর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বেড়ে হয়েছে ৯৫ শতাংশ।

এছাড়া সংস্থাটি আরও জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিনের দাম ১০ ডলারেরও কম হতে পারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় তার দাম হতে পারে প্রায় ৮৪৫ টাকা। যা বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন হবে বলে দাবি রাশিয়ার।

যদিও চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য কতগুলো কেস নেয়া হয়েছে সেটা জানায়নি রাশিয়া।

গামালেয়ার অধিকর্তা অ্যালেক্সজান্ডার জিন্টসবার্গ বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফার মূল্যায়ন করা হয়েছে। দুটি ডোজের ক্ষেত্রেই সাড়া দিয়েছে শরীর।’

তবে, দ্বিতীয় ডোজের তৃতীয় সপ্তাহ পর থেকে কার্যকারিতার হার অনেক বেশি করে বাড়বে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। ভ্যাকসিনটিকে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৩৫.৬ থেকে ৪৬.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) মধ্যে রাখতে হবে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে।

অপরদিকে ব্রিটেন ও ব্রাজিলে উচ্চপর্যায়ের গবেষণার পর অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ প্রয়োগের পর মানব শরীরে তা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। তবে এক মাস পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের পর কার্যকারিতা ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে। সেই কারণে ভ্যাকসিনের গড় কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ বলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা দাবি করেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাস্কাল সরিওটে বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকার এবং মানব শরীরে নিরাপদ। এই ভ্যাকসিন বাজারে এলে জনস্বাস্থ্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে। করোনার প্রকোপও অনেকটাই রুখে দেয়া সম্ভব হবে।’

তবে কবে নাগাদ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজারে আসবে সেটা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *