রাশিয়ার বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে ইউরোপ
একাধিক অঞ্চলে রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। তাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সবাইকে একজোট হতে হবে। বৃহস্পতিবার বাল্টিক ও মধ্য ইউরোপের নেতারা এ আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করতে এবং মস্কোর হঠাৎ উপস্থিতি ঠেকাতে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিজানিস কারিন্স বলেছেন, ‘আমরা সত্যিই বেশ কয়েকটি আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছি। আমি তাদের সবাইকে সম্পৃক্ত দেখতে পাচ্ছি।’
রুশ হামলার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, বেলারুশ সীমান্তে মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার, রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো এবং মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া।
রাশিয়া ও পশ্চিমের মধ্যে বিবাদের মূল হিসাবে রয়ে গেছে ইউক্রেন। ওয়াশিংটনের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে এক লাখ সেনা জমায়েত করেছে এবং তা সম্ভবত আক্রমণের জন্য। মস্কো অভিযোগ অস্বীকা করে বলেছে, নিজের অঞ্চলের চারপাশে সেনাদের স্থানান্তর করার অধিকার তবে রয়েছে এবং আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে মস্কোর এই আশ্বাসকে প্রতারণা বলে মনে করে বাল্টিক দেশগুলো।
লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা বলেছেন, ‘আমরা সম্ভবত গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে রয়েছি। আমি শুধু ইউক্রেন নয়, ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলের কথাও বলছি।’
এই মুহূর্তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা দিতে হলে জার্মানিকে তার নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশটির নতুন চ্যান্সেলর ওলফ স্কলজ সমন্বিত নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তের অলঙ্ঘনযোগ্যতা ইউরোপে শান্তির জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেই বিষয়টির ওপর আমরা আবারও গুরুত্ব দেব এবং এই অলঙ্ঘনীয়তা যাতে স্থায়ী হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা একসঙ্গে সবকিছু করব।’