রামপালে খাল খনন নিয়ে নৌবাহিনীর সাথে কেসিসি মেয়র’র মতবিনিময়
রামপাল প্রতিনিধি
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় রামপাল উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ঘষিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন খাল খনন কার্যক্রম নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর সাথে কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক’র এর এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘষিয়াখালী চ্যানেল’র নাব্যতা ধরে রাখার জন্য চ্যানেল সংলগ্ন ৮২টি খাল খননের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নৌবাহিনীর উপর। খাল খনন করতে যেয়ে এলাকায় যে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, সে বিষয়টি উপস্থান করে নৌবাহিনী।
আলোচনা থেকে জানা গেছে যে, বর্তমানে যে স্থান থেকে খালের প্রবাহ রয়েছে, তার অধিকাংশ জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন। কিন্তু খাল খননের জন্য যে ম্যাপ করা হয়েছে, তা সি.এস. ও এস.এ. রেকর্ড অনুযায়ী করা হয়েছে। ফলে কিছু কিছু এলাকায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া সরকারী খালের চর ভরাটি অনেক জায়গায় সরকার ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দিয়েছে। ফলে যখন সি.এস. এবং এস.এ. ম্যাপ অনুযায়ী খাল খনন করার জন্য জায়গা নির্ধারন করা হচ্ছে, তখন অনেক জায়গা বেধে যাচ্ছে যেখানে ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং অনেক জায়গায় ভূমিহীনরা ঘরবাড়ী বেঁধে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে। ফলে সি.এস. এবং এস.এ. ম্যাপ অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান থেকে খাল কাটতে গেলে ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া জায়গা ও বসতবাড়ী থেকে তাদের সরিয়ে দেয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এছাড়া খাল খননের ফলে উত্তোলিত মাটি অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় ফেলার ফলে আবাদী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরূপ পরিস্থিতিতে চ্যানেল সংলগ্ন খাল খনন’র সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধান অতিথি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক তার বক্তব্যে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খাল খননের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করার জন্য তিনি সকলকে সহযোগীতা কারার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, খাল খনন করতে যেয়ে যেন সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়েটি ও খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া যে সমস্ত এলাকার খাল খননের ফলে অতিরিক্ত মাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে ফেলা হয়েছে এবং যাদের আবাদী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহবান জানান। যে সমস্ত এলাকায় খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বসতবাড়ী নির্মান করে বসবাস করছে, তাদের সে সমস্ত স্থান যদি খাল খননের মধ্যে পড়ে, তাহলে তাদের ব্যাপারে ও সুদৃষ্টি দেয়ার আহবান জানান।
এছাড়া যে সমস্ত এলাকায় বসত বাড়ী নাই এবং ভূমিহীনদের মাঝে ও বরাদ্দ দেয়া হয় নাই, সে সমস্ত এলাকা থেকে সরকারী ম্যাপ অনুযায়ী খাল কেটে যাওয়ার পরামর্শ দেন মাননীয় মেয়র। এ সময় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট ডাইরেক্টর প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ, প্রজেক্ট অফিসার শের জামান বিএন (অব. ক্যাপ্টেন), উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাইদ, উপজেল নির্বাহী অফিসার তুষার কুমার পাল, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্যা আঃ রউফ, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মোজাফ্ফর হোসেন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিআইডব্লিউউটিএ’র কর্মকর্তাবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।