রামপালের শিবনগর গ্রামে শ্লীলতাহানির শিকার হওয়ায় গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন
দ: প্রতিবেদক
রামপালের শিবনগর এলাকায় শ্লীলতাহানির শিকার হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগি গৃহবধূ দিলরুবা বেগম। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায়, খুলনা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগি দিলরুবা বেগম (২৬)। উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগির মাতা নূর জাহার বেগম ও শ্বাশুড়ি ইউপি সদস্য পারুল বেগম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, রামপালের শিবনগর গ্রামের সরফরাজ তরফদারের স্ত্রী দিলরুবা বেগম। গৃহবধূর শ্বাশুড়ি পারুল বেগম ইউপি সদস্য হওয়ায় মামলার আসামিরা বিভিন্ন সময় গৃহবধূর শ্বশুর বাড়িতে আসার সুবাদে গৃহবধূ তাদের কু-নজরে পড়ে। বিষয়টি ভূক্তভোগি তার স্বামী ও শ্বাশুড়িকে জানালে মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে আসামিদের অভিভাবকদের জানানো হলে আসামিদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। অভিভাবকদের জানানোর কারণে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার চেষ্টা করতে থাকে। গেল বছর ১৮ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ৮টার দিকে দিলরুবা এশার নামাজ আদায়ের জন্য ওযু করতে গেলে বাইরে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা তখন তাকে জাপটিয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে মামলার আসামি শেখ মাসুম বিল্লাহ ও আলামিন হাওলাদার। একপর্যায়ে তার ডাকচিৎকারে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরের দিন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ না হওয়ায় খুলনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়। ভূক্তভোগি সুস্থ হওয়ার পর সংশি¬ষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত ওসি তার কথা শোনেন। কিন্তু তিনি তাকে মামলা রুজু করার আশ্বাস দিলেও অবশেষে গত ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে উপর মহলের চাপ থাকার কারণে মামলা নিতে পারছি বলে জানান ওসি এবং গৃহবধূকে আদালতে মামলার পরামর্শ দেন। ভূক্তভোগি আদালতে মামলা করলেও অজ্ঞাত কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এদিকে মামলার আরেক আসামি হলেন মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ। গত শুক্রবার গভীর রাতে ভূক্তভোগির বসতঘরে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি কয়েক মাস আগে ওই পরিবারের মৎস্য ঘেরে কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলে।