রাবি-রুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
করোনাভাইরাসের শঙ্কায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি বিভাগ এবং রুয়েটের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। রাবির ওই দুই বিভাগের পাঁচটি ব্যাচের ক্লাস প্রতিনিধিদের (সিআর) নিয়ে বৈঠক করে রবিবার দুপুরে এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে ওই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান।
তারা আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনভাবে যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তবে তা খুব দ্রæত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ শঙ্কা থেকে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা অতিদ্রæত বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন।
গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সভাপতি অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীরা মৌখিকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন। লিখিতভাবে কোন আবেদন করেননি। বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হোসেন বলেন, আমরা সকালেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছি। তারা আমাদের কাছে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করতে দাবি জানিয়েছিলেন। তাদেরকে বলা হয়েছিল-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখনও এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাইনি। তবে দুপুরের পর শিক্ষকরা ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাননি বলে জানান তিনি।
রুয়েটের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র কল্যাণের পরিচালক রবিউল আওয়াল বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে বুয়েট-চুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জণ করছে। এ কারণে এখানেও কয়েকটি বিভাগের কিছু সিরিজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার কিছু সিরিজের শিক্ষার্থী তার কাছে মৌখিকভাবে আবেদন করেছেন। কিন্তু আজ রবিবার তারা কোন লিখিত আবেদন করেছে কিনা তা জানা নাই। এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বিশ্বের অনেক দেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে। তাই পূর্ব সর্তকতা হিসেবে আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা জরুরি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হলগুলো এবং ক্লাস রুমে তাদের গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয়। এখানে কেউ আক্রান্ত হলে সবার মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবি জানান তারা। এতে বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন।