রাঙামাটিতে জেএসএস কর্মীকে গুলি করে হত্যা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় ‘এমএন লারমার নেতৃত্বাধীন এক জেএসএস কর্মীকে’ গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। লংগদু থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের ইয়ারাংছড়ি গ্রামের উত্তর রেংকাইজ্যা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্নেহকুমার চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এনএম লারমা) কর্মী বলে সংগঠনটির লংগদু উপজেলা সভাপতি অলঙ্গ চাকমা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাংগঠনিক কাজে লংগদুতে এসেছিলেন স্নেহকুমার। বুধবার রাত ১২টার দিকে সশস্ত্র লোকজন আটারকছড়া ইউনিয়নের ইয়ারিংছড়ি গ্রামে তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। অলঙ্গ চাকমা এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করেছেন। তবে তারা দায় অস্বীকার করেছে।
সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের লংগদু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। খুনি ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি রঞ্জন। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শেষ হয় দুই যুগের সশস্ত্র লড়াই। প্রায় দুই হাজার সশস্ত্র গেরিলা সন্তু লারমার নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। চুক্তির মাধ্যমে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হন সন্তু লারমা। কিন্তু চুক্তির বিরোধিতা করে প্রসীত খীসা-সঞ্চয় চাকমা ও দীপায়ন খীসার নেতৃত্বে গঠিত হয় চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ। দুই পক্ষের বিরোধে ১৯৯৭ থেকে প্রায় প্রতি মাসে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।