রহিমা বেগম অপহরণকে নাটক দাবি করে গ্রেপ্তার ৫ আসামির মুক্তি দাবি
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেছেন রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন, মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতেন। অবিলম্বে মরিয়ম ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানান তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে রহিমা বেগমের অপহরণ মামলার আসামি মো. মহিউদ্দীনের নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, রহিমা বেগম ও তার সন্তানেরা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছেন। ওই পরিবার ‘মামলাবাজ পরিবার’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রতিবেশীদের ঘায়েল করার জন্য অপহরণের মামলা করা হয়েছিল। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছেন। কয়েক বছর আগে ৮ থেকে ৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তারা প্রতিবেশীদের মামলার ভয় দেখান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মরিয়মের বাবা মান্নান তিনটি বিয়ে করেছিলেন। এর মধ্যে মান্নানের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া জমি কিনেছিলেন। কিন্তু রহিমা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন সেই জমির দখল নিতে দেননি। উল্টো এ ঘটনায় মানহানির মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। সেই মামলায় হেলাল শরীফসহ পাঁচজন আসামি ছিলেন। ওই মামলায় আসামিরা সবাই আগাম জামিন নেন। পরে সেই পাঁচজনেরনামেই অপহরণ মামলা করা হয়। আগের মামলায় জামিন হওয়ার পরই নতুন করে ফাঁসানোর জন্য রহিমা বেগমের পরিবার অপহরণের ঘটনা সাজায় বলে দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মালিহা মহিউদ্দিন বলেন, রহিমা বেগমের কাছ থেকে ব্যাগ, কাপড়চোপড়, ওষুধ, প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়। তিনি ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এটা কোনোভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। পত্রপত্রিকা থেকে জানা যায়, রহিমা বেগমের কাছে কোনো মুঠোফোন ছিল না। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে খুলনা না এসে ফরিদপুর গেছেন তিনি। রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজকে ফরিদপুর থেকে মুঠোফোনে তার মায়ের বিষয়ে জানানো হলেও মিরাজের স্ত্রী এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তারা বিষয়টি প্রশাসনকেও জানাননি। এসব দেখে স্পষ্টই বোঝা যায়, পুরোটা একটা নাটক। আর এই নাটক সাজানোর মূল কারণ তাঁদেরকে বিপাকে ফেলা।