‘রমজানে মাছ-মাংস-দুধ-ডিমের দাম বাড়বে না’
রমজানে মাছ, মাংস, দুধ ডিমের দাম আর বাড়বে না। বরং সহনশীলতার ভেতরে যাতে রাখা যায় সে প্রক্রিয়ায় আমরা রয়েছি বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যাতে এ খাবারগুলো খেতে পারে সেরকম মূল্য নির্ধারণের জন্য পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনসহ সবাইকে অনুরোধ করবো।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে দু’দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সামনে রমজান এ সময় পোল্ট্রিসহ মাছ ও মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, রমজান মাসে এ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মানুষের পুষ্টি ও খাবারের অন্যতম উপকরণ মাছ-মাংস-দুধ ও ডিম। উৎপাদন বৃদ্ধিতে যতো প্রকার সহায়তা করা দরকার সবটাই আমরা করছি। আমাদের উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে পোল্ট্রির যে সব উপকরণ বিদেশ থেকে আনতে হয় সেটা আনার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এসবের কারণে খাবারের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের ভেতরে যাতে বিকল্প খাবার তৈরি করা যায় এজন্য সাভারে নতুন একটা কারখানা স্থাপন করেছি। এর ফলে নানা অজুহাতে উৎপাদনকারীরা আর দাম বাড়ানোর করার সুযোগ পাবেন না।
মন্ত্রী বলেন, রমজানের সময় আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করবো সেক্ষেত্রে বেসরকারি খামারি যারা আছেন তাদের সহায়তা নেবো। আমি মনে করি বাজার ব্যবস্থাপনাকে আরও মনিটরিং করা হলে দাম অনেকটা কমে আসবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে দু’দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী করেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশিদ, ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, বিশ্ব পোল্ট্রি স্যাইন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের মহাসচিব মো. মাহাবুব হাসান। এছাড়া মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সৈয়দ বোরহান কবিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল। সরকারের খাত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোক্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।