রংপুর মেডিকেলের অর্থ আত্মসাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জিএম গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রংপুর মেডিকেল কলেজে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির মহাব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গতকাল রবিবার বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার মৎস্য ভবন এলাকা থেকে সৈয়দ কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। মামলায় তার নাম না থাকলেও তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১২ সেপ্টম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি কেনার নামে চার কোটি ৪৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. নুর ইসলামসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।
মামলায় বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির প্রয়োজন না থাকা সত্তে¡ও প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ব্যবহার অনুপযোগী ও নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে সরকারের চার কোটি আট চলিশ লক্ষ ঊননব্বই হাজার তিনশত টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
নন-ক্লিনিক্যাল কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি চারটি কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিজে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে কমিটিসমূহের সদস্য সচিব হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে পরস্পর যোগসাজশে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানিকে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির মালিক মো. জাহের উদ্দিন সরকার, তার বাবা মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, ছেলে মো. আহসান হাবিব, আরেক প্রতিষ্ঠান ইউনির্ভাসেল ট্রেড কর্পোরেশনের মালিক মো. আসাদুর রহমান এবং রংপুর মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সারোয়াত হোসেন।
এই সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একাই বাজার দর কমিটি, দরপত্র উম্মুক্তকরণ কমিটি, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও সার্ভে কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছর মার্চ থেকে জুন মাসে এসব যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনার নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান তা তদন্তের দায়িত্ব পান।
প্রনব কুমার জানান, মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামি আগেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তদন্তে আসা নতুন আসামি কামরুল হাসানকে রবিবার তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দল গ্রেপ্তার করে।