রংপুরে রথিশ হত্যা মামলার রায় ২৯ জানুয়ারি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে রংপুরের আইনজীবী রথিশচন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন আগামী ২৯ জানুয়ারি ঠিক করে দিয়েছে আদালত। মামলার একমাত্র জীবিত আসামি রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিকের উপস্থিতিতে রংপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ বি এম নিজামুল হক সোমবার এই আদেশ দেন।
রংপুর জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক জানান, ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আগামী ২৯ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ঠিক করে আদালত এই আদেশ দেয়।
গত বছর ৩ এপ্রিল রথিশের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে রথিশের লাশ বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব। এর পাঁচ দিন আগে তাকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে হত্যা করা হয়। রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও দীপার সহকর্মী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দুই আসামিই তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করার জন্য রথিশকে হত্যা করেন বলে আদলতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর আগে গত ২১ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। দুই আসামির মধ্যে কামরুল গত ১০ নভেম্বর মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।
পিপি মালেক বলেন, যুক্তিতর্ক শুরুর আগে কড়া পুলিশ পাহারায় এ মামলার একমাত্র বেঁচে থাকা আসামি দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধা সরকারকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রথিশের ছোট ভাই সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক ও দুই বোন কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়া রংপুর আইনজীবী সমিতির শতাধিক সদস্য আদালতে যুক্তিতর্ক শোনেন।
রথিশ ছিলেন জাপানি নাগরিক হোশিও কুনি হত্যা মামলার বিশেষ পিপি, আওয়ামী লীগ রংপুর জেলা কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুরের সভাপতি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক। রথিশ-দীপার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।