রংপুরে রথিশ হত্যায় স্ত্রী দীপার ফাঁসির রায়
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রংপুরের আইনজীবী রথিশচন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনাকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় তার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক মঙ্গলবার দীপার উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
গত বছর ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের তাজহাট মোলাপাড়ায় রথিশের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে রথিশের লাশ বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব। এর আগে রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ৩০ মার্চ ভোরে নগরীর বাবুপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে রওনা হন রথীশ।
তার ‘নিখোঁজের’ খবরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। রথীশ যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী ছিলেন বলে সন্দেহের তীর যায় জামায়াতে ইসলামী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকে। পরে দীপা ও তার সহকর্মী স্কুলশিক্ষক কামরুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
দীপা ও কামরুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করার জন্য রথীশকে হত্যা করেন বলে আদলতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুই আসামিই তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে কামরুল গত ১০ নভেম্বর মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।
রায় ঘোষণার আগে কড়া পুলিশ পাহারায় এ মামলার একমাত্র বেঁচে থাকা আসামি দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধা সরকারকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রংপুর আইনজীবী সমিতির শতাধিক সদস্য আদালতে ছিলেন।
রথিশ ছিলেন জাপানি নাগরিক হোশিও কুনি হত্যা মামলার বিশেষ পিপি, আওয়ামী লীগ রংপুর জেলা কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুরের সভাপতি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক। রথিশ-দীপার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।